আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি দলটি নিষিদ্ধের দাবি করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়নি।
সমন্বয়করা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে তারা রিট আবেদন করেছেন। সেখানে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার’ কথা বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখতেই এই রিট দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে জনস্বার্থ সমুন্নত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
এর আগে আওয়ামী লীগের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার দাবি করে আগস্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
গত ২৩ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিধান দেখিয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এই রাজনৈতিক দল।