অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় তিন সাংবাদিক নিহত


ইসরায়েলি হামলাস্থলে ‘প্রেস’ লেখা একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি পড়ে রয়েছে; এই হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। হাসবায়া, দক্ষিণ লেবানন। ফটোঃ ২৫ অক্টোবর, ২০২৪।
ইসরায়েলি হামলাস্থলে ‘প্রেস’ লেখা একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি পড়ে রয়েছে; এই হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। হাসবায়া, দক্ষিণ লেবানন। ফটোঃ ২৫ অক্টোবর, ২০২৪।

শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন সাংবাদিক নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হাসবায়াতে মিডিয়ার ব্যবহৃত কয়েকটি অতিথি নিবাসে তারা শুয়েছিলেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এমনটাই জানিয়েছে।

একাধিক সংস্থা পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানপন্থী সংবাদ সংস্থা আল মায়াদীনের ক্যামেরা কর্মী ঘাসান নাজ্জার ও ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ রেদা এবং হিজবুল্লাহর আল-মানারের হয়ে কর্মরত ক্যামেরা কর্মী উইসাম কাসেম।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার মধ্যে সংঘাতের এক বছরে এই হামলাই মিডিয়ার উপর সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাতের দিন।

ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তারা সাধারণত ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের হামলার অভিযোগকে অস্বীকার করে।

সংঘাত চলাকালে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এর আগে রয়টার্সের ভিজুয়াল সাংবাদিক আইসাম আবদাল্লাহ-সহ পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন।

হাসবায়া শহরে মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয় ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে এই শহরের উপকণ্ঠে একাধিক হামলা হয়েছে, তবে শুক্রবার রাত তিনটের দিকে (মধ্যরাত জিএমটি) এই প্রথম শহরের উপর হামলা চালানো হয়েছে।

লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি বলেছেন, “এটা যুদ্ধাপরাধ।” স্কাই নিউজ, আল জাজিরা ও লেবাননী সম্প্রচারকারীসহ ছয়টি সংবাদ সংস্থার কমপক্ষে ১৮ জন সাংবাদিক ওই অতিথিনিবাসে ছিলেন।

লেবাননের সংবাদ সংস্থা আল-জাদিদে কর্মরত সংবাদদাতা মুহম্মদ ফারহাত রয়টার্সকে বলেন, “আমরা শুনতে পেলাম, খুব নিচু থেকে বিমান উড়ছে…এই আওয়াজ আমাদের জাগিয়ে তোলে…এবং তারপর আমরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আওয়াজ শুনতে পেলাম।”

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি বাংলোবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ফুটেজে উল্টে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে “প্রেস” লেখা রয়েছে।

ফারহাত বলেন, “আমরা সেখান থেকে প্রায় এক মাস ধরে খবর তৈরি করছি। কিছুই ঘটেনি। আমি এমনকি জানি না, কীভাবে আমি ধ্বংসস্তুপের তলা থেকে বেরিয়ে এলাম।”

আল-মায়াদীনের অধিকর্তা ঘাসান বিন জিদ্দো এই সংস্থার এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, এই হামলা “ইচ্ছাকৃত।”

বিন জিদ্দো আরও বলেছেন, “এই যুদ্ধাপরাধের জন্য আমরা দখলদারদের (ইসরায়েল) পূর্ণভাবে দায়ী করছি; আল মায়াদীনের দল-সহ বহু সংবাদকর্মীকে নিশানা করা হয়েছে।”

XS
SM
MD
LG