অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জেড আই খান আগাম জামিন পেলেন


আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী জেড আই খান পান্না।
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী জেড আই খান পান্না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দেন।

আদালতে জেড আই খান পান্নার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। তাকে শুনানিতে সহযোগিতা করেন আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।

গত ১৭ অক্টোবর পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।

এই মামলা হওয়ার বিষয়ে আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, "আমি যতটুকু খোঁজ পেয়েছি এবং এটা আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিমত যে, বরিশালের মুলাদীর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির (লোকাল পলিটিক্স) সূত্রেই মামলাটি হতে পারে।"

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মেরাদিয়া বাজার এলাকায় আহাদুলসহ অন্যরা বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় পুলিশ, বিজিবি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাজধানীর খিলগাঁও থানায় করা এই মামলায় আসামি হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এই মামলায় ৯৪ নম্বর নামটি জেড আই খান পান্নার।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫ অগাস্ট প্রথম মামলা হয় ঢাকার আদালতে। এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২০০ শর বেশি মামলা হয়েছে।

অধিকাংশ মামলায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনারসহ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ব্যাপক হারে হত্যা মামলা এবং তার ভিত্তিতে গ্রেফতার ও পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা নিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিক মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর আশ্বাস দেন যে, প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হবে না।

XS
SM
MD
LG