মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ ক্যাও সোয়ে মোয়ে রবিবার (৬ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রসচিব এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র সহিংসতার কারণে বাড়িঘর ছেড়ে রাখাইন রাজ্যের নাগরিকদের অনেকে বাংলাদেশে নতুন করে প্রবেশ করছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত ৩রা সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নতুন করে আট হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।
তবে স্থানীয়দের উদ্ধৃত দিয়ে গণমাধ্যম জানায়, নতুন প্রবেশকারীদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
ড. ইউনূসঃ 'দরজা বন্ধ করা যাবে না'
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বাসস জানিয়েছে, রবিবারের বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র সংঘাত নিয়ন্ত্রণ এবং রাখাইন থেকে বাংলাদেশে বেসামরিক নাগরিক ও সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রবেশ ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে দ্রুত, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত রাখাইন রাজ্যে দ্রুত শৃঙ্খলা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন শুরু করার আশ্বাস দেন।
তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভয়েস আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রোহিঙ্গারা আসতে চাইলে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের আসতে দিতে হবে।
“তারা যদি আসতে চায়, আমরা আসতে দেবো, আমরা গ্রহণ করবো। তারপর যা যা করতে হয়, আন্তর্জাতিক কমিউনিটি আছে, এটা আমাদের একার সমস্যা না,” ভিওএ-কে তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে বলেন।
“এটা সারা পৃথিবীর একটা দায়িত্ব, যখন মানুষ শরণার্থী হয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে আশ্রয় চায়, যখন তার জীবন শঙ্কা দেখা দেয়। যেহেতু তারা আসছে আমারা দরজা বন্ধ করে দিলাম্ আসতে দেবো না, এটা হতে পারে না। এটা আইন বিরোধী কাজ,” তিনি বলেন।
বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে আট লাখ রোহিঙ্গা ঢুকেছে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী কয়েক মাসে