অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে বিরোধী দলগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদে এলজিবিটিকিউপ্লাস কর্মীদের মনোনয়ন


এলজিবিটিকিউপ্লাসের কর্মী ও সমর্থকরা ‘প্রাইড পতাকা’ উত্তোলন করে স্লোগান দিচ্ছেন। কলকাতা, ভারত। ফাইল ফটোঃ ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।
এলজিবিটিকিউপ্লাসের কর্মী ও সমর্থকরা ‘প্রাইড পতাকা’ উত্তোলন করে স্লোগান দিচ্ছেন। কলকাতা, ভারত। ফাইল ফটোঃ ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এলজিবিটিকিউপ্লাসদের অধিকার নিয়ে প্রচার চালাতে চলতি সপ্তাহে একটি নতুন অভ্যন্তরীণ সংগঠন তৈরি করেছে। এরই মধ্যে আরেকটি দল তাদের মুখপাত্র হিসেবে এই সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে মনোনীত করেছে। অনেক বাধা-বিপত্তির পর এই ধরনের রাজনৈতিক স্বীকৃতি এ দেশে প্রথম।

২০১৮ সালে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সমকামিতা অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছিল, তবে গত বছর এলজিবিটিকিউপ্লাস সম্প্রদায় প্রবল হতাশ হয়েছিল কারণ সমলিঙ্গ বিবাহকে বৈধতা দিতে অস্বীকার করে গোটা বিষয়কে সংসদের ইচ্ছা ও বিবেচনার উপর ছেড়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

১৪০ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের এই রক্ষণশীল প্রধান দেশে সমলিঙ্গ সম্পর্ক এখনও একটা ট্যাবু। গত বছর কেন্দ্র সরকার সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল, এই ধরনের বিয়ে “স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভারতীয় পরিবারের যে ধারণা তার সঙ্গে তুলনীয় নয়।”

এপ্রিল-জুনের লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ফলাফল করায় কংগ্রেসের রাজনৈতিক উত্থান ঘটেছে। চলতি সপ্তাহে এই দল এলজিবিটিকিউপ্লাস সম্প্রদায়ের জন্য গঠিত নতুন সংগঠনের প্রধান হিসেবে মারিও দা পেনহাকে মনোনীত করেছে। তিনি এই সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে কাজ করেন।

নির্বাচনের সময় কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, সমলিঙ্গ যুগলদের নাগরিক বৈধতা দিতে আইন প্রণয়ন করবে তারা।

দা পেনহা এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে বলেছেন, এটা “ভারতের কোনও স্বীকৃত জাতীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে কুইয়ার মানুষদের জন্য একমাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক কাঠামো।”

গত মাসে শরদচন্দ্র পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) মতো বড় দলের মুখপাত্র নির্বাচিত হয়েছেন অনিশ গাওয়ান্ডে। তিনি বলেছেন, পেনহার নিয়োগ “ভারতীয় রাজনীতিতে কুইয়ারদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে একটা বড় মুহূর্ত।”

কেন্দ্র সরকার বলছে, এই সম্প্রদায়ের জন্য তারা একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে সমলিঙ্গ দম্পতিদের সরকারি খাদ্য কর্মসূচির সুবিধালাভের বিষয়টি।

সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ণ দফতর রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সম্প্রদায়ের জন্য গৃহীত একাধিক নীতি ও উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকরী কিনা তা সুনিশ্চিত করতে মানুষের মতামত আহ্বান করা হয়েছে।

সমলিঙ্গ যুগলদের বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে কোনও আইনের কথা উল্লেখ করেনি তারা।

এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও মন্ত্রণালয়টির এক মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেননি।

XS
SM
MD
LG