উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর জোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জিরো পয়েন্টের কাছে সচিবালয়ের গেটে পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে সচিবালয়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝে প্রতিবাদ মিছিল করতে থাকে তারা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরীক্ষার ফল কীভাবে প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম মনে করেন পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, "যারা ওখানে (সচিবালয়ে) গিয়েছে...তারা কোনদিন সুস্থ একটি প্রতিযোগিতা কিংবা মেধার যে মূল্যায়ন, এটিকে প্রতিনিধিত্ব করে না।...আজকে যে (পরীক্ষা বাতিলের) ডিসিশনটি এসেছে এটি একটি যৌক্তিক ডিসিশন নয়।
গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। আট দিনের পরীক্ষা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আরও তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
অবশেষে সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলন ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কারণে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বোর্ডগুলো।