অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসেবে যারা ক্ষমতা গ্রহণ করবে, তাদেরকে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, তিন মাস অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য যথেষ্ট সময়।
ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষে থেকে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আদিত্য রিমন।
ভয়েস অফ আমেরিকাঃ অন্তর্বর্তীকালীন / জাতীয় / তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান তিনটি অগ্রাধিকার কি হওয়া উচিত ?
মির্জা ফখরুল: ১.আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা ও আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। ২. অতি দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।৩. অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার জন্য কাজ করা।
ভয়েস অফ আমেরিকাঃ সর্বোচ্চ কতদিনের মধ্যে একটি অবাধ নিরপেক্ষ , অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়া দরকার?
মির্জা ফখরুলঃ আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে-সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
ভয়েস অফ আমেরিকাঃ এমন একটি নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান পরিবর্তন করে দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের বিধান কি সংবিধানে স্থায়ী ভাবে সংযোজন যথেষ্ট বলে মনে করেন? নাকি প্রথমে একটিসংবিধান সভা নির্বাচন করে সেখানকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে একটি নতুন সংবিধান তৈরি করে তার আলোকে নতুন নির্বাচন দেয়া উচিত?
মির্জা ফখরুলঃ এটাই করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধানে স্থায়ীভাবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থাটা যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আগে নির্বাচন করতে হবে।তারপরই তো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে গেলো।তারপর সংবিধানে যেসব জায়গা পরিবর্তন করা দরকার, সেইগুলো পরিবর্তন হবে। একইসঙ্গে এখন যেটা করা হচ্ছে সেটাকে বৈধতা দেওয়া হবে।