বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণারয় জানিয়েছে যে বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে সব অফিস নিয়মিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার থেকে সরকারি অফিস-আদালত স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত) চলবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে সব ধরনের সরকারি অফিস নিয়মিত সময়সূচি অনুযায়ী চলার সিদ্ধান্ত আসার পর, ব্যাংকগুলোও তাদের নিয়মিত কর্মঘণ্টায় ফিরে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সারা দেশের ব্যাংকগুলো পুনরায় তাদের নিয়মিত কর্মঘণ্টায় ফিরে যাবে। এর ফলে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা।

সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) হালনাগাদ সময়সূচি মেনে চলার নির্দেশ ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেনের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এবং আনুষঙ্গিক অফিস কাজের জন্য সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই সময়ে সব ধরনের স্বাভাবিক লেনদেন যথারীতি চলবে।

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে, গত ১৮ জুলাই থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়। আর, ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর ২৪ ও ২৫ জুলাই সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২৮ থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া, কারফিউ ও সরকারি ছুটির কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা হয়। এরপর ২৮ থেকে ৩০ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা ছিলো ব্যাংক।

গত ১৮ জুলাই থেকে ইন্টারনেট বন্ধ ও গতি কম থাকায় সীমিত পরিসরে চলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং কার্যক্রম। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির কারণে টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়।

ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে বৈদেশিক লেনদেন বন্ধ থাকে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং নগদ অর্থের অভাবে অনেক এটিএম বুথ অকেজো হয়ে পড়ে।