বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, “আগামীকালের ( বুধবার, ৩১ জুলাই) মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হবে।” মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হবে।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এর আগে, সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ দলীয় জোট জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের স্বার্থে ১৪ দলীয় জোট দেশবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতা রাশেদ খান মেনন বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেছেন, “জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলে তারা সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।”
উল্লেখ্য, জামায়াতের নিবন্ধন দীর্ঘদিন ধরে বাতিল রয়েছে। 'জামায়াত-শিবির' ট্যাগটি জামায়াতে ইসলামীর আদর্শের অনুসারীদের বোঝায়। এটি দেশের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী দল। আর, জামায়াতের ছাত্রসংগঠন হলো ইসলামী ছাত্রশিবির।