ইরানি কুর্দি নাগরিক কর্মী পাখশান আজিজিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। নারী আন্দোলনকারীদের ওপর নৃশংস প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নিন্দা জানায় বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার তার আইনজীবীরা এ রায় গ্রহণ করেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরানে এটি দ্বিতীয় নারী রাজনৈতিক বন্দীর মৃত্যুদণ্ড। এর আগে রাশতের লাকান কারাগারে আটক শ্রমিক কর্মী শরিফেহ মোহাম্মদীকে বিদ্রোহের অভিযোগে শহরের ইসলামিক বিপ্লবী আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।
কুর্দি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ হেনগাও হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন জোর দিয়ে বলেছে, আজিজিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং “তাকে বেশ কয়েক মাস ধরে আইনজীবী এবং পরিবারের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম অস্বচ্ছ ও অন্যায়ভাবে পরিচালিত হয়েছে।”
সম্প্রতি হেনগাও আজিজির একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। চিঠিতে আজিজি বলেন, আটক থাকাকালীন তাকে বারবার নির্যাতন ও ঝুলিয়ে মারধরের শিকার হতে হয়েছে।
নারী অধিকার কর্মী ফাতেমা শাহরাজাদ শামস বলেন, “তারা সবচেয়ে নৃশংসভাবে নারী কর্মীদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। বারবার মৃত্যুদণ্ড প্রদান, দীর্ঘমেয়াদী কারাবাস, নির্বাসন এবং নারী বন্দীদের ওপর সন্দেহজনক অসুস্থতা চাপিয়ে দেয়া- এগুলো নারীদের বিরুদ্ধে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে চলমান অপরাধ। এসব নির্মম অবিচারের মুখে আমাদের নীরব থাকা উচিত নয়।
২০২৩ সালের ৪ আগস্ট তেহরানের খারাজিতে গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় আজিজিকে গ্রেপ্তার করে। এভিন কারাগারের ২০৯ নম্বর ওয়ার্ডে এবং পরে মহিলা ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে তাকে গোয়েন্দা আটক কেন্দ্রে জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করা হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে “বিরোধী দলে সদস্যপদের মাধ্যমে বিদ্রোহ” করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
বিদ্রোহের অভিযোগের জবাব দিতে আজিজি ২০২৪ সালের ২৮ মে ও ১৬ জুন তেহরানের ইসলামি বিপ্লবী আদালতের ২৬ নম্বর শাখায় বিচারক ইমান আফশারির সভাপতিত্বে হাজির হন।