যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেবাননে ইসরায়েলি অভিযানের সম্ভাবনার ফলে গাজার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সোমবার লুক্সেমবার্গে সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
বোরেল বলেন, “আমি মনে করি, দুঃখজনকভাবে আমরা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার প্রাক্কালে রয়েছি।”
মানবিক ত্রাণ প্রবাহের সুবিধার্থে গাজায় যুদ্ধবিরতি অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গাজার অভ্যন্তরে মানবিক সহায়তা সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
লেবাননে ইসরায়েলি হামলা হিজবুল্লাহকে সহায়তা করার জন্য ইরানকে টেনে এনে বৃহত্তর সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করার কয়েক ঘণ্টা পর বোরেল এ মন্তব্য করেন।
ইসরায়েল কয়েক মাস ধরে গাজা ভূখণ্ডে ইরান সমর্থিত হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সাথে প্রতিদিনি সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।
নেতানিয়াহু আশা করেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় তাদের আক্রমণ শেষ করার পর গাজায় লড়াই বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল অদূর ভবিষ্যতে সেখানে সামরিক উপস্থিতি আশা করে।
এর আগে রবিবার নেতানিয়াহু বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গাজায় হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে অস্ত্র সরবরাহের গতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিরোধের শীঘ্রই সমাধান হবে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, নেতানিয়াহুর দাবিতে তারা বিস্মিত। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কাছে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে… একদম যেকোনো পর্যায়ে’ দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের জন্য লবি করেছে। নেতানিয়াহু বলেন, “এই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন না হওয়ার কয়েক মাস পরে আমি এ ব্যাপারে জনসমক্ষে বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। এটি ওয়াশিংটনকে ক্ষুব্ধ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, নেতানিয়াহু কী ইঙ্গিত করেছেন সে সম্পর্কে তারা অবগত নন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।