বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে, শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে তাকে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “চিকিৎসকের পরামর্শে ম্যাডামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
তিনি আরো জানান যে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সাড়ে ৩টার দিকে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। সেই সময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করেন। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। তখন ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। হাসপাতালে থাকা অবস্থায়, গত বছরের ২৭ অক্টোবর খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
২০২১ সালের এপ্রিল-এ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর, সাত বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যা-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
খালেদা জিয়া ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এরপর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাজা স্থগিত করে, একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে, তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
