অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ভারতগামী যাত্রীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, ১০ জন আহত


বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে এবিপিএন ও আনসার সদস্যরা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৯ জুন, ২০২৪।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে এবিপিএন ও আনসার সদস্যরা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৯ জুন, ২০২৪।

বাংলাদেশের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ (এবিপিএন) ও আনসার সদস্যরা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৯ জুন) সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেক যাত্রী সঙ্গে থাকা ব্যাগ ফেলে ছোটাছুটি শুরু করেন। এ ঘটনায় কিছু সময় যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে। পরে পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের মতো বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারতগামী যাত্রীর দীর্ঘ লাইন ছিল। হঠাৎ টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়া শুরু হলে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে যাত্রীরা লাইন ভেঙে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় আশ্রয় নেন। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে টার্মিনালের সামনের গ্লাস ভেঙে একজন এবিপিএন সদস্য সামান্য আহত হন। এ সময় এবিপিএন ও আনসার সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

ঢাকার আনোয়ার হোসেন নামের ভারতগামী এক যাত্রী বলেন, “স্ত্রীকে নিয়ে সকাল থেকে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে লাইন থেকে সরে টার্মিনালের বারান্দায় এসে উঠি। পরে যাত্রীদের চাপে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন। এ সময় আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আমাদের এলোপাতাড়িভাবে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে।”

ভারতগামী আরেক যাত্রী আনন্দ মণ্ডল বলেন, “বৃদ্ধ বাবা-মা ও শিশুদের নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো যে কি কষ্ট, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বুঝবে কী করে! ওনারা টাকার বিনিময়ে লাইন ছাড়া যাত্রী পার করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।”

যাত্রী কামনা বালা বলেন, “হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রাস্তা থেকে একটু উপরে উঠেছি। অমনি প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠতে পারব না বলে জানানো হলো। তাহলে ৬০ টাকা করে কিসের জন্য নেওয়া হলো? এখানে পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।”

যাত্রী ইন্দ্রজিত বলেন, “বাধ্য হয়ে, বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা ভারতে যান। পুলিশ ও আনসারদের এমন অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। সুষ্ঠুভাবে যাতে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন, সে বিষয়ে দুই দেশেরই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।”

এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিপিএনের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র বলেন, “আজ যাত্রীর অনেক ভিড়। এ কারণে তাদের সামাল দিতে গিয়ে হয়তো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমাদের সদস্যরা কারও ওপর লাঠিচার্জ করেনি।”

XS
SM
MD
LG