খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে চাল চকচকে করতে বর্তমানে ৪-৫ বার ছাঁটাই করে পুষ্টি ফেলে দেওয়া হয়। ফলে চালে কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সেই চালে আবার পুষ্টি মিশিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো প্রাঙ্গণে সরকারি প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আগে চালে পুষ্টি মেশাতে হতো না। প্রাকৃতিকভাবেই চালে পুষ্টি থাকত। বর্তমানে চাল চকচকে করতে ৪-৫ বার ছাঁটাই করে পুষ্টি ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে চালে কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সেই চালে আবার পুষ্টি মিশিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে। এটা অপচয়। এই অপচয় বন্ধ করতে সরকার কাজ করছে।”
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এখন থেকে চাল ২-৩ বারের বেশি ছাঁটাই করা যাবে না। প্রাকৃতিক রং ও ঘ্রাণের চাল গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে ঈদের পর মিল মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এটা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, সারা বছর দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ চাল বিতরণ করা হয় তার এক তৃতীয়াংশ নারায়ণগঞ্জ প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি হতে যোগান দেওয়া সম্ভব হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, সারা দেশে খাদ্য গুদামগুলো ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। ফলে খুব সহজেই কোনো গুদামে কতটুকু স্টক আছে, কোথায় পণ্য ঢুকছে এবং বের হচ্ছে তা জানা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও, সারা দেশে ২০০ খাদ্য গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্য গুদামগুলো নির্মাণ হলে সংরক্ষণ সক্ষমতা আরও বাড়বে।
অনুষ্ঠানে খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, “খাদ্যপণ্য বিশেষ করে চাল ও গম অত্যাধুনিকভাবে সংরক্ষণ করার কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। প্রতি বছর প্রায় ৪ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে সরকার। পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও আমাদের সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেশি।”
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতার বাইরের মানুষের জন্য ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ চাল বিক্রয় কার্যক্রমকে বেগবান করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।