অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল: শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে


বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১২ জুন ,২০২৪।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১২ জুন ,২০২৪।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল এখন ঐক্যবদ্ধ দাবি করে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন খুব শিগগিরই আরও জোরদার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার এখন বিরোধী দলগুলোর প্রধান শত্রু।

বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আন্দোলনে আছি। এরইমধ্যে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি... সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তাভাবনা ভিন্ন- কেউ বামপন্থী, কেউ ডানপন্থী, কেউ কট্টর বামপন্থী- কিন্তু আমরা সবাই মিলে আন্দোলনে একমত হয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পরাজিত করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ একটি বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তারা দলটিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সেই আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা এখনো সেই আন্দোলনে আছি এবং নিঃসন্দেহে খুব শিগগিরই তা আরও তীব্র হবে।”

চলমান আন্দোলন সফল করতে বিএনপি সব বাম ও ডানপন্থী দলের সঙ্গে কথা বলছে বলে জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “এই আন্দোলনের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, কোনো রাজনৈতিক দল এই সরকারের পক্ষে ছিল না, কেউ তাদের সমর্থন দেয়নি। এটা আন্দোলনের বড় সাফল্য। তথাকথিত (২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ যায়নি।”

মির্জা ফখরুল বিরোধী দলগুলোকে কোনো হঠকারী পদক্ষেপ বা ক্ষতিকর মন্তব্য না করতে সতর্ক করে দেন, যা তাদের ঐক্য ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি বলেন, “আমি সবসময় বলি, আমাদের হঠকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ আছে। এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবাই আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমরা এর জন্য লড়াই করছি, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।”

যুগপৎ আন্দোলন সফলভাবে পরিচালনার জন্য বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে এই সরকার, যারা আমাদের সর্বস্ব ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি... শেষ পর্যন্ত আমরাই সফল হব। আসুন আমরা সবাই জনগণের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের সঙ্গে সংগ্রাম করি। আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করতে পারি, তবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই শাসনকে অপসারণ করা।”

গণতন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে দেশ ও জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ: ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করেছেন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের এখন আর সহ্য হচ্ছে না।

চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ৭ জুন, ২০২৪।
চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ৭ জুন, ২০২৪।

তিনি বলেন, “ক্ষমতার হালুয়া-রুটির ভাগ-বাঁটোয়ারার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ যারা বিএনপি দল গঠন করেছিলেন, ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী ২ বছর ও একাধারে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদসহ ২২ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা তাদের পক্ষে এখন আর সহ্য হচ্ছে না।”

৭ জুন (শুক্রবার) সকালে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন অগ্রগতিও তারা সহ্য করতে পারছে না। সেই কারণে তারা এখন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”

XS
SM
MD
LG