অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রিজার্ভের পরিসংখ্যানের ভিন্নতা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারকে অস্থিতিশীল করছে


প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ওঠানামার প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের রিজার্ভ গণনায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে।

রিজার্ভের ভিন্ন ভিন্ন এই পরিসংখ্যানে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ডলারের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। সরবরাহকারীরা ডলারের দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম কয়েকবার বাড়িয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় খুচরা ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ ও এপ্রিলের জন্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের আর্থিক দায় সমন্বয়ের পর ১৪ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পদ্ধতিতে বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৮৩২ কোটি ডলারের কম, যেখানে প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সামান্য কম।

এই পরিসংখ্যানগুলোতেই মূল রিজার্ভের পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়। আইএমএফের পদ্ধতিতে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) হিসাবে রাখাসহ বিভিন্ন আর্থিক দায় বাদ দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃত রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ না করলেও আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আশ্বস্ত করে বলেন, মোট রিজার্ভ এখনো ১৮ বিলিয়ন (১ হাজার ৮০০ কোটি) ডলারের বেশি। তবে এই মুহূর্তে এটি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তিনি মুদ্রাবাজার ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে আস্থা নিয়ে চলমান উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন।

আহসান এইচ মনসুর অনিয়ন্ত্রিত অর্থ পাচারের হুমকিকে অস্থিতিশীলতার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্যোগ মোকাবিলায় অপর্যাপ্ত রিজার্ভের ঝুঁকির ওপর জোর দিয়েছেন।

ডলারের এই ঘাটতি ও সৃষ্ট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এ কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

XS
SM
MD
LG