কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবনী প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকেরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, উৎপাদনের জন্য যে আধুনিক ও কৌশলগত জ্ঞান প্রয়োজন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবনী প্রদর্শনীর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকেরা তা জানতে পারবেন। এর ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের গোলা আরও সমৃদ্ধ এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।
বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ইনোভেশন শোকেসিং (উদ্ভাবনী প্রদর্শনী) অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস শহীদ বলেন, সরকার কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার ফলে কৃষি বিষয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই।
তিনি বলেন, বাজেটে ঘাটতি বা যে সমস্যাই থাকুক কেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষিতে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কৃষিখাতে যেসব নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আছে, তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্বে কৃষিকাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশেও স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আমাদের জোর দিতে হবে। কৃষিখাতে বাজেট আরও বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী ও ফারজানা মমতাজ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস ও অন্য সংস্থার প্রধানরা।
উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গৃহীত উদ্ভাবন প্রদর্শন করে।
এর মধ্যে রয়েছে- কৃষি মন্ত্রণালয়ের মামলা ও সম্পত্তির স্মার্ট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্মার্ট রাইস প্রোফাইল মোবাইল অ্যাপ, বিএডিসির সেচ চার্জ আদায় পদ্ধতি ডিজিটালাইজকরণ, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির আইওটিভিত্তিক মাটিছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইওটিভিত্তিক প্রিপেইড মিটার ফর স্মার্ট ইরিগেশন প্রভৃতি।