যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। এখনও পর্যন্ত চুক্তির সফলতা না আসার জন্য তিনি বলেছেন এটা কেবল "হামাসের কারণে" সম্ভব হয়নি।
তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে সাক্ষাত করছেন ব্লিংকেন। তিনি বলেন, “ আমাদের হাতে একটি প্রস্তাব রয়েছে এখন কোন রকম দেরি বা অজুহাত দেখানো যাবে না, এখনই সিদ্ধান্ত নেবার উপযুক্ত সময়।”
বৈঠকে গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কুটনীতিক সৌদি আরব ও জর্ডান সফরের সময় বারবার হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হারজগ বলেছেন, তাদের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিই "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকারে থাকা উচিত।”
জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সাথে বৈঠকের পরে ব্লিংকেন কথা বলেন। তিনি তাদের জানান, জিম্মিদের পরিবারগুলোরসাথে দেখা করে তিনি তাদের প্রিয়জনদের ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন।
৭ অক্টোবরের হামলায় হামাসের হাতে ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জন জিম্মি হয়। কিছু সংখ্যক মুক্তি পেলেও আরও ১০০ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৩৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ভয়েস অব আমেরিকার সিন্ডি সেইন এই প্রতিবেদনে কাজ করেছেন।