অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত


নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেছে আদালত।

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনুসের গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও একজন প্রোগ্রাম অফিসার, তাদের পাওনা আদায়ের দাবিতে ২০২১ সালে রংপুরের শ্রম আদালতে শ্রম আইনে মামলা করেন।

“ওই মামলা তারা করতে পারেন না, এমন দাবিতে শ্রম আদালতে আবেদন করি। কিন্তু শ্রম আদালত সেটা খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়," তিনি বলেন।

"শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলাটি কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার কার্যক্রম ২২ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন এবং ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছেন;” জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূস এবং আরো ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

XS
SM
MD
LG