অভিনেতা, থিয়েটারকর্মী ও ফ্রিল্যান্স নির্দেশক এহসানুর রহমান। স্ত্রী আর দুই মেয়ে নিয়ে মধ্যবিত্তের সংসার। বড় মেয়ে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে সবে ফার্স্ট সেমিস্টারে ঢুকেছে, ছোটটি মাত্র এসএসসি দিলো।
মাসে আয়, কোনো মাসে হাজার চল্লিশেক, কোনো মাসে কোনো আয়ই হয়না। অথচ খরচ তো আর থেমে থাকে না। মধ্যবিত্ত পরিবারের নূন্যতম চাহিদাগুলো মেটাতেও আজকাল ষাট-পঁয়ষট্টি হাজার টাকা লাগে। মাঝে মধ্যে একটা দুটো ফ্রিল্যান্স কাজ করে কিছু এক্সট্রা টাকা আসে, ওনার স্ত্রীও পার্ট-টাইম একটা চাকরী করেন। যেভাবে যা পাচ্ছেন, কোনোভাবে ম্যানেজ করে চলছেন এহসান।
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে সিগারেটের ব্র্যান্ড পাল্টে ফেলা, মাছ-মাংস কম খাওয়া, বাজারে কম যাওয়া, বিকল্প সবজির বাজার থেকে একটু ‘ট্যাপ’ খাওয়া দাগ-লাগা সবজি কম দামে কেনা পর্যন্ত নানা কৌশল করে টিকে থাকার লড়াই করছেন এহসান। চেষ্টা করছেন মধ্যবিত্ত স্ট্যাটাস ধরে রাখতে। যদিও আর কদ্দিন পারবেন এভাবে, তা অনিশ্চিত।
নিজেকে আজকাল আর মধ্যবিত্ত ভাবতে পারছেন না তিনি। উচ্চ নিম্নবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তর দিকে তার যে যাত্রা শুরু হয়েছে, সে যাত্রার শেষ কোথায় তা তার জানা নেই। নিম্নবিত্ত হওয়ার পথে হেঁটে যাওয়ার বিরুদ্ধে এহসানের এ অসম লড়াই, এ শহরের আরো অসংখ্য মধ্যবিত্তের লড়াই।
কিভাবে চালাচ্ছেন ঢাকার মধ্যবিত্তরা এ লড়াই, সে গল্পই ভিওএ-এর দর্শকদের জন্য তুলে এনেছেন মারজানা সাফাত।