অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপি বলছে, ভারত-বিরোধী প্রচারণা বাংলাদেশে 'জোরদার হচ্ছে'


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলাদেশে 'ইন্ডিয়া আউট' ক্যাম্পেইন জোরদার হচ্ছে মন্তব্য করে বলেছেন, এটা দেশটির প্রভাবের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ।

বুধবার (২০ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই মন্তব্য করেন।

'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের সামাজিক মাধ্যমের আন্দোলনকে ‘সমীচীন নয়’ বলে মনে করেছেন। যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে ভারতের ভূমিকার প্রতি জনগণের অসন্তোষের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অস্বস্তির বহিঃপ্রকাশ।"

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ভারত সরকারের সমর্থনের বিনিময়ে, তার ভাষায়, "দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে বিসর্জন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।"

তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেট চায় না, বরং “মোদি সরকারের সমর্থনে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে এবং পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা দখল করে।”

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে একটি 'ডামি রাষ্ট্র' হিসেবে বিবেচনা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের পেছনের আসল শক্তি বাংলাদেশের জনগণ নয়, ভারত। আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ভারত দেশের নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করছে।"

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতার নামে আমাদের সার্বভৌমত্বের ধারণাকে বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ইন্ডিয়া আউট বলে সম্পর্ককে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সমীচীন নয়।

১৬ মার্চ (শনিবার) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, “সম্পর্ক ভালো বলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। আমি এই কৃতিত্ব দিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীকে। দীর্ঘ দিনের অবিশ্বাস ও সন্দেহের দেয়াল তারা ভেঙ্গে দিয়েছেন। অবিশ্বাস ও সন্দেহের দেয়াল রেখে কোনো কিছু সমাধান সম্ভব নয়। … গঙ্গা চুক্তিও আমরা করেছি। তিস্তা নদী নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং এর সমাধানও অবশ্যই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দ্রব্যমূল্যের প্রভাব ভারতেও পড়েছে, ভারতে জিনিসপত্রের দাম কম, বাংলাদেশে বেশি বিষয়টা তো এমন নয়। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখন একটি মহল ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো শুরু করে।”

XS
SM
MD
LG