প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ কিছুদিন ধরেই তেমন একটা অস্বচ্ছ নয় , যদিও অনেক ভোটদাতাই বলেন যে ঠিক এমনটা তারা দেখতে চান না।
এই সুপার-টিউসডেতে, যদিও তেমন একটা সুপার নয় বলছেন অনেকেই , কিছু কিছু অবাক করা ঘটনা ঘটলো এই মঙ্গলবার। এটা তো আরও পরিস্কার হলো যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমক্র্যাটিক দলের মনোনয়নের সহজ পথে রয়েছেন, যা হয়তোকেবলমাত্র কোন ধরণের ব্যক্তিগত দূর্ঘটনায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আর তাঁর পূর্বসুরি, ডনাল্ড ট্রাম্প, যদি তাঁর বিরুদ্ধে ৯১ টি ফৌজদারি অভিযোগ তিনি পেরিয়ে আসতে পারেন এবং অন্য কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন তা হলে তিনি তৃতীয়বারের মতো রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাবেন এবং প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আজকের দিনে বাইডেন তেমন গুরুত্ব পাননি। কোন কোন ডেমক্র্যাটতো বাইডেনের পক্ষে ভোট না দিয়ে প্রতিশ্রুতিবিহীন ভোট দিয়েছে। আর ট্রাম্প তার প্রধান চ্যালেঞ্জার সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্ণর নিকি হেলির বিরুদ্ধে একের পর এক জয়ী হবার পরও ট্রাম্পের জন্য ও সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা আছে ।
প্রাইমারি নির্বাচনে হেলির জয়লাভ করেন ভার্মন্ট রাজ্যে তবে সেটা নিয়ে আলাচনার কোন কারণ ছিল না। তার পর তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে পরাজিত হতে থাকেন। তার আরেকটি একক বিজয় আসে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসির প্রাইমারিতে।
মঙ্গলবারের প্রাইমারিতে তাঁর পরাজয় তাঁর প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর সব যুক্তিকে ধূলিস্মাত করে দেয়। তিনি এমনকী ভার্জিনিয়ার মতো রাজ্যেও পরাস্ত হন যেখানে শিক্ষিত ভোটাররা ভোট দিয়েছে।
তবে তার মানে এই নয় যে তার নির্বাচনী অভিযানের কোন প্রভাব ছিল না। তিনি বার বার বলেছেন যে ট্রাম্প সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবেন না, কারণ তিনি সেই সব রিপাবলিকানের কাছ থেকে সমস্যায় পড়বেন যারা হেলিকে সমর্থন করে। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বড় রকমের ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন।