যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ২০২৪ সালের ভোট থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সরানোর প্রচেষ্টাকে খারিজ করতে প্রস্তুত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকানদের অগ্রণী প্রার্থী ট্রাম্পের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রায় ভোটে তার উপস্থিতি রুখতে কলোরাডো, মেইনে ও অন্যান্য রাজ্যের উদ্যোগের ইতি ঘটাতে পারে।
২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজয়কে ট্রাম্প ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, যা শেষ হয় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলা দিয়ে। এই কারণে ট্রাম্পকে আবার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য অযোগ্য বলা হবে কিনা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সওয়াল-জবাব চলাকালে রক্ষণশীল ও উদারপন্থীরা মিলিতভাবে প্রশ্ন করেন।
গৃহযুদ্ধের পর “বিদ্রোহে জড়িত” সাবেক কর্মকর্তাদের পুনরায় দফতরে প্রবেশ থেকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে একটি বিধি আছে। এখন প্রধান উদ্বেগ হল, রাজ্যগুলো ট্রাম্পের বিষয়ে সেই সাংবিধানিক বিধি আরোপ করার আগে কংগ্রেসকে হস্তক্ষেপ করতে হবে কিনা। পাশাপাশি এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, প্রেসিডেন্ট এই বিধির আওতায় পড়বেন কিনা।
বিচারক ইলেনা কাগান কয়েকজন বিচারকের একজন যিনি জানতে চেয়েছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা একটি রাজ্য কেন সিদ্ধান্ত নেবে।”
এই মামলার ফলাফল আদালতের ব্যাপক ঐকমত্যকে প্রতিফলিত করতে পারে এবং এটি দ্রুত আসতে পারে।
নয়জন বিচারকের মধ্যে আটজন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের আইনজীবী জোনাথন মিচেলের কিছু যুক্তি শুনতে রাজি। এই যুক্তিগুলির কোনও একটিকে আদালত যদি গ্রহণযোগ্য মনে করে তাহলে ট্রাম্প এই মামলায় জিতে যেতে পারেন।
একমাত্র বিচারক সোনিয়া সোটোমেয়র কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের রায়কে (যে-রায়ে ট্রাম্পকে “বিদ্রোহে জড়িত” এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলা হয়েছে) বহাল রাখতে পারেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে। রাজ্য আদালত রায় দিয়েছে, ৫ মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ঐ স্টেটের রিপাবলিকান প্রাইমারি ভোটে ট্রাম্পের অংশগ্রহণ সমীচীন নয়।
মিচেল যুক্তি দিয়েছেন যে, ক্যাপিটলে দাঙ্গা কোনও বিদ্রোহ নয় এবং তা যদি হয়ও, ট্রাম্প এতে যুক্ত ছিলেন না।
বিচারপ্রক্রিয়ার পর ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তাঁর মার-এ-লাগো ক্লাবে সংবাদদাতাদের বলেন, “আমার আশা, এই দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকবে।”