সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে সঞ্জয় সিংকে, যিনি বিতর্কিত প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ সিংয়ের ছায়াসঙ্গী। এই ঘোষণা মানতে পারছেন না দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা।
বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর কুস্তিগির সাক্ষী মালিক এই ঘটনার প্রতিবাদে অবসর ঘোষণা করেন। এবার অলিম্পিক পদকজয়ী বজরং পুনিয়া ফিরিয়ে দিলেন ভারতের অন্যতম কেন্দ্রীয় পুরস্কার পদ্মশ্রী।
সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে চলতি বছর থেকে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অবস্থানে শামিল হন ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পদকপ্রাপ্ত কুস্তিগিরেরা।
মহিলা শিক্ষার্থী কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানি করেছেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিং, এই অভিযোগ বেশ কিছু দিন ধরে করে আসছেন কুস্তিগির বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক প্রমুখ।
তাদের টানা আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত ব্রিজভূষণ সিংকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হয় ও নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হয়।
কুস্তি নির্বাচনে ‘প্রহসন’
বজরং ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিতে চান। সেই নিয়ে তিনি একটি মিডিয়া বিবৃতিও দিয়েছেন।
তাতে তিনি বলেছেন, "কুস্তি নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে, আমাদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, কিন্তু আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অন্যায় চলতে পারে না।"
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বজরং লিখেছেন, "আমরা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ব্রিজভূষণ সিং নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছি। এই নিয়ে আমরা দিল্লির রাস্তায় ধর্নাও দিয়েছিলাম। আমাদের ধর্না থেকে উঠে যেতে বলেছিল কেন্দ্র সরকার। তারা আশ্বাস দিয়েছিল দ্রুত বিষয়টির সমাধান করবেন। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে, কিছুই হয়নি। দেশের মহিলা কুস্তিগিররা আদৌ সুরক্ষিত নয় এই ঘটনায়। কারণ কুস্তি সংস্থার মাথায় সেই ব্রিজভূষণের লোকই চেয়ারে বসেছেন।"
বজরং পুনিয়া প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, "গত এপ্রিল মাসে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর করা হয়। তারপর সেই নিয়ে কী তদন্ত এগিয়েছে, তা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলাও হচ্ছে না। আমরা কোনওভাবেই ওই অভিযুক্ত কর্তার প্রভাব মানব না। ব্রিজভূষণ ক্ষমতায় না থাকলেও তার লোকই বসেছে চেয়ারে, তাই সেই একই বিষয় থাকবে। এতে কোনওভাবেই কুস্তিগিররা সুরক্ষিত থাকবে না।"