পৃথক ১০ মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন গ্রহণ ও আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, রিটে হাইকোর্ট এভাবে আদেশ দিতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন দাখিল করলে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা
অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ বিএনপির সমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখিয়ে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার রমনা ও পল্টন থানায় পৃথক ১১টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় মির্জা ফখরুলকে জামিন দেওয়ার প্রশ্নে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বাকি ১০টি মামলায় তাঁর জামিন আবেদন করা হয়।
কিন্তু ১২ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তা গ্রহণ করেনি।
এ অবস্থায় ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রিটে ১০টি মামলার মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টির কথা উল্লেখ রয়েছে।
মামলাগুলো ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন। এসব মামলায় তাঁর জামিন আবেদন করা হয়, যা ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত গ্রহণ করেনি বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।
এ রিট দায়েরের পরদিন একটি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে এই রিটের ওপর ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে শুনানি হয়। সেদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা জানান, ১০টির মধ্যে ইতিমধ্যে পল্টন থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অপর নয়টি মামলার ক্ষেত্রে জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান তারা।
শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেয়। হাইকোর্ট রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ৯ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দেয়।