চলতি বছরে ভিভো ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট আনল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ (PMLA)-এ মামলাও দায়ের হয়েছে। আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িয়ে গেল চীনা মোবাইল নির্মাতা সংস্থা ভিভো। গত বছর ভিভো-র চার অফিসারকে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
ইডি-র দাবি, এ বছর জুলাই মাস থেকে বেআইনিভাবে টাকাপয়সার লেনদেন করছে ভিভো ইন্ডিয়া। একটি পাচার চক্রের খোঁজও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তদন্ত সংস্থার অভিযোগ, ভারতে কর না দিয়ে চোরাগোপ্তা পথে প্রায় ৬২ কোটি টাকা বেআইনিভাবে চীনে পাচার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের আরও দাবি, এর আগেও একাধিকবার ভিভো ইন্ডিয়া এ দেশে কর না দিয়ে টাকা চীনে পাঠিয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই কয়েকটি চীনা সংস্থার ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল ইডি। শুধু ইডি নয়, আয়কর দফতর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরও নজর ছিল এই সব সংস্থার উপর। ভিভো ছাড়াও আর চীনের আরেকটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা শাওমি-র বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে।
আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে ভিভো-র চার কর্তাকে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন লাভা ইন্টারন্যাশনালের এমডি হরি ওম রাই, চীনের নাগরিক গুয়াংওয়েন কিয়াং ওরফে অ্যান্ডু কুয়াং, রাজন মালিক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিতিন গর্গ। চার অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি নগদ ১০ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লি পুলিশের করা একটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে ভিভো-র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। পরে দেশের ৪৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মেঘালয়, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্য ছিল সেই তালিকায়। তদন্ত চলাকালীন ইডির অভিযোগ ছিল, ভিভো বেআইনি ভাবে বহু কোটি টাকা চীনে পাচার করেছে।
গত বছর ২০২২ সালে ভিভো ইন্ডিয়া-র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে ইডি, পরে আদালত সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়।