অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আন্দামান সাগরে ভাসমান দুটি নৌকার ৪০০ জন রোহিঙ্গা যাত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করা প্রয়োজন, বলেছে জাতিসংঘ


২৭ ডিসেম্বর, ২০২১-এ তোলা এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় আচেহ প্রদেশের বিরুয়েনের জলে আটকা পড়ে আছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহন করা এই একটি কাঠের নৌকাটি।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২১-এ তোলা এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় আচেহ প্রদেশের বিরুয়েনের জলে আটকা পড়ে আছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহন করা এই একটি কাঠের নৌকাটি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ও ত্রাণকর্মীরা বলছেন, পর্যাপ্ত খাবার ছাড়াই আন্দামান সাগরে দুটি নৌকায় থাকা আনুমানিক ৪০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে উদ্ধারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

খাদ্য রেশন কমিয়ে দেওয়া এবং দলবদ্ধ সহিংসতা বৃদ্ধির কারণে গত বছর থেকে নৌকায় করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষত বাংলাদেশের দুর্গম, জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবির থেকে এই মৌসুমী অভিবাসনের পরিমাণ বাড়ছে।

সংস্থাটির ব্যাংকক-ভিত্তিক আঞ্চলিক মুখপাত্র বাবর বালুচ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, "এই মানুষদের বাঁচানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ না নিলে প্রায় ৪০০ শিশু, মহিলা এবং পুরুষ চোখের সামনে মারা যাবে।"

অন্য আরেকটি নৌকার অবস্থান জানা যায়নি। নৌকাগুলো বাংলাদেশ থেকে যাত্রা করে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে ছিল বলে জানা যায়।

একটি নৌকার ক্যাপ্টেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নৌকাটিতে প্রায় ১৯০ জন যাত্রী আছে। তাদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে গেছে। সেই সাথে নৌকার ইঞ্জিনটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মান নকিম নামে সেই ব্যক্তি বলেন, সাহায্য না পেলে আরোহীরা সবাই মারা যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

নকিম রবিবার জানান, নৌকাটি থাইল্যান্ডের পশ্চিম উপকূল থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সোমবার থাই নৌবাহিনীর এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নৌকাগুলো সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান।

বালুচ জানান, ১৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশ থেকে প্রায় সমান দূরত্বে অবস্থিত আরেকটি নৌকা শনিবার সুমাত্রার শেষ প্রান্তে সাবাং দ্বীপে অবতরণ করে। এর মধ্যে ৫৮ জন শিশু, ৪৫ জন নারী ও ৩৬ জন পুরুষ। গত মাসে আচেহ শহরে আরও কয়েকশ মানুষ এসে পৌঁছানোর খবরও জানা গেছে।

প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান ২০১৭ সালের আগষ্ট থেকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, হত্যা এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের কর্মকাণ্ড গণহত্যা কিনা আন্তর্জাতিক আদালত তা বিবেচনা করছে।

XS
SM
MD
LG