বুধবার নেপালে এক সমলিঙ্গের দম্পতি দেশে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সমলিঙ্গের বিয়ের মর্যাদা পেয়েছে। হিমালয়ের এই জাতি এশিয়ার প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি যারা এটির অনুমতি দেয়।
একজন প্রকাশ্য সমকামী, প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকার কর্মী সুনীল বাবু পন্ত বলেন, “২৩ বছরের সংগ্রামের পর আমরা এই ঐতিহাসিক অর্জন পেলাম এবং অবশেষে মায়া ও সুরেন্দ্র স্থানীয় প্রশাসনের কার্যালয়ের তাদের বিবাহ নিবন্ধন করিয়েছেন।”
এই বছরের শুরুতে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করে যাতে প্রথমবারের মতো সমকামী বিয়ের নিবন্ধন করা যায়।
কর্মকর্তারা প্রথমে বিয়ে নিবন্ধন করতে অস্বীকার করেছিলেন। দম্পতি এবং পন্ত কাঠমান্ডু জেলা আদালত ও হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কিন্তু তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
পন্তের মতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই সপ্তাহে সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যালয়ে সমকামী বিবাহ নিবন্ধন করতে সক্ষম করার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছে। এই দম্পতি ছয় বছর আগে হিন্দু রীতিনীতি অনুসরণ করে একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের উপস্থিতিতে একজন পুরোহিত সেই বিয়ে পরিচালনা করেন। কিন্তু তাদের বিয়ের বৈধ কোনো সার্টিফিকেট ছিল না।
২০০৭ সালে নেপালের সরকারকে এলজিবিটিকিউ প্লাস মানুষের পক্ষে পরিবর্তন আনার জন্য আদালতের একটি সিদ্ধান্তের পর থেকে নেপাল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে। যে সব ব্যক্তি নিজেদের নারী বা পুরুষ হিসেবে পরিচয় দেন না, তারা এখন তাদের পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরকারি নথিতে বিকল্প হিসেবে “তৃতীয় লিঙ্গ” কথাটি বেছে নিতে পারবেন। ২০১৫ সালে গৃহীত সংবিধানেও স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, যৌন অভিমুখের ভিত্তিতে কোন বৈষম্য করা যাবে না।