আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে, আর ৪৮ ঘণ্টায় বড় রদবদল হবে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায়। বাড়বে তাপমাত্রা, শীত কার্যত উধাও হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আছড়ে পড়লে শীত আসতে আরও সময় লাগবে।
বুধবার ২৯ নভেম্বর জানা গেছে আর সময় মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হবে। নিম্নচাপ ক্রমেই গভীর নিম্নচাপে বদলে যাচ্ছে। আর সেই সঙ্গেই আবহাওয়ার ভোল বদলাচ্ছে।
শীতকাল খাতায়-কলমে চলে এলেও শীত পড়েনি। হালকা গরম পোশাকই পরতে হচ্ছে। উত্তুরে কনকনে হাওয়ার তেজ নেই, বরং সকাল হলেই মেঘলা আকাশ। এর মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা নিম্নচাপে বদলে গেছে। এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তরপশ্চিম দিকে।
৩০ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে বদলে যাবে। ধীরে ধীরে তা ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম মিগজাউম দিয়েছে মিয়ানমার। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জন্ম হবে ঘূর্ণিঝড়ের। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের।
নভেম্বরের শেষ থেকে উপকূলের এলাকাগুলিতে তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে হাওয়ার বেগ বাড়বে। সাগর সংলগ্ন উপকূলের এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে শীত উধাও হবে। এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের শিরশিরানি কিছুটা কমেছে। আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা উপরে থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে এই ধরনের ঝড় তৈরি হয়। সাধারণত নিম্নচাপ থেকে জন্ম হয় ঘূর্ণিঝড়ের। গত কয়েক দশকের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে, বঙ্গোপাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধির গড় হার অনেকটাই বেশি। সাধারণত সমুদ্র উপকূলবর্তী জায়গাগুলোতে গরম বাড়ছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় তৈরির আদর্শ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।