নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণে আপত্তি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নামে ভারতের নির্বাচন কমিশনে বুধবার ২২ নভেম্বর, অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। তার একদিন পরে, বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর এই ঘটনায় রাহুল গান্ধীকে নোটিস দিয়ে জবাব চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
দু'দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নাম না করে 'পনৌতি' অর্থাৎ 'অপয়া' বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তারপরেই অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি।
শুক্রবার ২৪ নভেম্বর বিকেল ৬টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে 'অপয়া' এবং 'পকেটমার' বলার ঘটনায় ওয়েনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধীর কাছে উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। নির্বাচনের আগে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করার জন্য কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। গত মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর সে রাজ্যেই একটি নির্বাচনী প্রচারে নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বকাপে ভারতের পরাজয়ের প্রসঙ্গে 'অপয়া' বলে কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী। সেই ঘটনায় বুধবার তার বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে রাহুল 'পকেটমার' বলে কটাক্ষ করেছেন বলেও রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে বিজেপি শিবির। তারপরেই রাহুলের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস পাঠাল কমিশন।
নির্বাচন কমিশন তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, একজন প্রধানমন্ত্রীকে 'পকেটমার'-এর সঙ্গে তুলনা করা এবং 'অপয়া' জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা জাতীয় রাজনৈতিক দলের একজন প্রবীণ নেতার পক্ষে সম্মানহানিকর। তারা আরও জানিয়েছে, এই ধরনের শব্দের ব্যবহার সমতার নীতি লঙ্ঘন করে। রাহুল গান্ধীকে পাঠানো নোটিসে আদর্শ আচরণবিধি এবং বাক স্বাধীনতা সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।