অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইয়েমেন-এর সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সকে, মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে ইয়েমেন যেতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ মা


ইয়েমেন-এর সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সকে, মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে ইয়েমেন যেতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ মা।
ইয়েমেন-এর সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সকে, মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে ইয়েমেন যেতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ মা।

ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া পেশায় নার্স। কর্মসূত্রে থাকতেন ইয়েমেন-এ। সেখানেই সম্প্রতি তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে ইয়েমেন-এর সুপ্রিম কোর্ট। সেই খবর জেনে মেয়েকে বাঁচাতে পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেন-এ যেতে চান তার মা। ইয়েমেন যাওয়ার আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

২০১১ সাল থেকে ইয়েমেন-এর রাজধানী সানা-এ নার্স হিসাবে চাকরি করতেন নিমিশা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তালাল আবদো মাহদি নামের এক প্রৌঢ়কে দেখভালের সময় তাকে হত্যা করেছেন নিমিশা ও তার সঙ্গী ইয়েমেন-এর নাগরিক হানান। প্রথমে ইনজেকশন দিয়ে খুন এবং পরে দেহটি একটি জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। নিমিশা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে জানিয়েছিলেন, নিহত ব্যক্তি তার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিলেন। তাই ওই ব্যক্তিকে ওষুধ দিয়ে অচেতন করে পাসপোর্টটি উদ্ধার করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওষুধের মাত্রা বেশি হওয়ায় প্রাণ হারান ৫৬ বছর বয়সী সেই ব্যক্তি।

অন্যদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে গ্রেফতার হন নিমিশা ও তার সঙ্গী। তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত। আর তার সঙ্গীকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে ইয়েমেন-এর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিমিশা। গত ১৩ নভেম্বর তার আর্জি খারিজ করে দেয় সেদেশের শীর্ষ আদালত। আপাতত ভারতীয় নার্সের প্রাণভিক্ষার বিষয়টি ইয়েমেন-এর প্রেসিডেন্টের কাছে বিচারাধীন রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক স্তরে ভারত যাতে ইয়েমেন-এর সঙ্গে কথা বলে, সেই আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিমিশার মা। তিনি আদালতে জানান, তার মেয়ের আট বছরের এক সন্তান রয়েছে। তাই সব দিক বিবেচনা করেই তাকে যেন সেই দেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে কেন্দ্রকে দ্রুত নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

XS
SM
MD
LG