বুধবার ১৫ নভেম্বর উত্তর প্রদেশে নয়া দিল্লি-দ্বারভাঙা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লেগে জখম হন বেশ কয়েক জন যাত্রী। অগ্নিদগ্ধ হয় তিনটি বগি। সেই ঘটনার পর পেরোলো না ২৪ ঘণ্টা। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ভারতীয় সময় ভোরে উত্তর প্রদেশের ইটাওয়াতে দিল্লি-সহরসা বৈশালী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের একটি কোচে আগুন লেগে কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হলেন।
ঘটনার বিষয়ে জানাতে গিয়ে রেলওয়ের সিও উদয় শঙ্কর বলেন, “ট্রেনটি দিল্লি থেকে বিহারের সহরসায় যাচ্ছিল। সেইসময় রাত আড়াইটে নাগাদ প্যান্ট্রি কারের কাছে এস ৬ নম্বর কোচে হঠাৎ আগুন লাগে।" তবে কীভাবে ওই মাঝরাতে ট্রেনের মধ্যে আগুন লাগল, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ঘটনার পরই সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন এসে জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
উদয় শঙ্কর বলেন, “এই আগুন লেগে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। কেন আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।” তবে একই দিনে পরপর দু’বার চলন্ত ট্রেনের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভারতীয় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, আগুন লেগে ধোঁয়ায় একেবারে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কোচের ভিতর। অনেকেই তার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পড়েন। শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে ১১ জনকে পিজিআই-তে রেফার করা হয়েছে। বাকি আরও ৮, ৯ জন আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। উদয় শঙ্কর জানান, তাদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার আগুন লেগেছিল নয়াদিল্লি-দ্বারভাঙা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে। উত্তর প্রদেশের সরাই ভূপত রেলওয়ে স্টেশনের কাছ দিয়ে ট্রেনটি যখন যাচ্ছিল তখনই ট্রেনের স্লিপার কোচে ধোঁয়া দেখতে পান সংশ্লিষ্ট স্টেশনের ম্যানেজার। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের চালক ও কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ততক্ষণে ট্রেনের তিনটি বগিতে ছড়িয়ে যায় আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ওই বগিগুলি। আতঙ্কে কয়েকজন যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপও দেন। ঘটনায় জখম হন একাধিক যাত্রী। গোটা ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ।
