অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যখন মুদ্রাস্ফীতি থাকে, তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না—বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি


বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “যখন মুদ্রাস্ফীতি থাকে, তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। দামের ওপর মূল্যস্ফীতি একটা বড় প্রভাব বিস্তার করে। এখন প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি। সেটার সমাধান করতে না পারলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা অন্য কেউ খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না”।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আমদানি ও বাজার মনিটরিং নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, আলু ও ডিম আমদানি করতে হলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। আমরা সেই অনুমতি নিয়ে দুই মাস আগে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি। যদি পেছনের সমর্থন না পাই, তাহলে আমরা অনেক সময় করতে পারি না। সংকট যখন প্রকট হয়ে যায়, তখন তারা মেনে নেন, কিন্তু তখন আবার অনেক দেরি হয়ে যায়।

আরেক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, সরবরাহ যদি ভালো থাকে, তাহলে সমস্যা হয় না। আবার আলু যদি অতিরিক্ত থেকে যায়, তখন প্রশ্ন করা হয়, কৃষকেরা আলুর দাম পাচ্ছেন না, আপনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? দুইভাবেই সমস্যা। উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেই প্রচারটা করেন।

টিপু মুনশি বলেন, একটা হলো আমাদের দেশের উৎপাদন, আরেকটি আমদানি করে আনা হয়। বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন রকম অবস্থা। পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এটা আমরা সবাই বুঝি যে, যখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, কৃষক যখন ফসল ঘরে তুলবে। হয়তো আগামী মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজটা বাজারে উঠবে, তখন হয়তো পেঁয়াজের দাম কমবে। আবার আলু যেমন ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজারে উঠতে শুরু করবে, তখন দাম কমবে।

টিপু মুনশি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ভারতীয় বাজারে ৮০ রুপি প্রতি কেজি পেঁয়াজ, যা আমাদের টাকায় ১০৫ বা ১১০ টাকা করে। পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত ৮০০ ডলার। ওই টাকায় আমরা আমদানি করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ কিংবা ১২৫ টাকা পড়ে যাবে। এ জন্য আমাদের নিজেদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করতে হবে।

তিনি বলেন, “একইভাবে আলু আমাদের যা আছে কোল্ড স্টোরেজগুলোতে, তা প্রয়োজন অনুসারে ভীষণ টাইট অবস্থা। ডিসেম্বরের শেষের দিকে আলু উঠতে শুরু করবে। তখন দাম কিছুটা কমবে। আমদানিও শুরু হয়েছে, বাজারে সেটার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে”।

টিপু মুনশি বলেন, আমদানিটা ভালোভাবে এলে দাম কিছুটা সাশ্রয় হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে। এরই মধ্যে প্রথম চালান এসেছে।

XS
SM
MD
LG