অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের সৌর‍যান আদিত্য এল-১ সূর্যের আলোর প্রথম ছবি তুলতে সক্ষম হল


ভারতের ইসরো জানিয়েছে, তাদের হাই এনার্জি এল ওয়ান অরবিটিং এক্স রে স্পেকটোমিটারে সূর্যের কিরণ ধরা পড়েছে।
ভারতের ইসরো জানিয়েছে, তাদের হাই এনার্জি এল ওয়ান অরবিটিং এক্স রে স্পেকটোমিটারে সূর্যের কিরণ ধরা পড়েছে।

সূর্যের আলোর প্রথম ছবি তুলল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র সৌরযান আদিত্য এল-১। সৌরযানের ক্যামেরায় সূর্যের আগুনে আভা ধরা পড়েছে। এক্স হ্যান্ডেল (পূর্ববর্তী ট্যুইটার)-এ পোস্ট করে সেই খবর দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

ইসরো জানিয়েছে, তাদের হাই এনার্জি এল ওয়ান অরবিটিং এক্স রে স্পেকটোমিটারে সূর্যের কিরণ ধরা পড়েছে। এই বিশেষ ক্যামেরাটি তৈরি হয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ইসরো-র ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে।

গত ২৯ অক্টোবর ভারতীয় সময় রাত ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল আদিত্য এল-১-এর প্রথম 'অবজারভেশন পিরিয়ড' বা সূর্য পর্যবেক্ষণের প্রথম দফা। ওই সময়েই সূর্যরশ্মির ছবিটি ধরা পড়েছে সৌরযানের ক্যামেরায়। ইসরো জানিয়েছে, সূর্যের অভ্যন্তরীণ বায়ুমণ্ডলের ঔজ্জ্বল্য আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই আলোর ছটা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এর ফলে বিজ্ঞানীদের অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূর্যে বিভিন্ন পদার্থ এবং কণার বিকিরণ সম্পর্কে গবেষণায় সাহায্য করবে আদিত্য এল-১-এর এই পর্যবেক্ষণ।

অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে গত ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল আদিত্য এল-১। পৃথিবীর চারপাশে মোট পাঁচ বার তার কক্ষপথ পরিবর্তন করানো হয়েছে। তারপর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব কাটিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে সৌরযানটি। সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝের এল-১ পয়েন্ট হল এই সৌরযানের গন্তব্য। সেখানে পৌঁছলে পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব হবে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। এল-১ পয়েন্টে পৌঁছে সূর্যকে আরও কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য এল-১।

ইসরো-র সাম্প্রতিক সাফল্যের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে মহাকাশযান সফল ভাবে অবতরণ করিয়েছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। এর আগে যা আর কোনও দেশ করতে পারেনি। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে ঘুরেছে ১৪ দিন। সংগ্রহ করেছে অনেক মূল্যবান তথ্য। তারপর চাঁদে রাত নামলে সেই মাটিতেই সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে ইসরো-র বিক্রম এবং প্রজ্ঞান।

চন্দ্রযানের এই সাফল্যের ঠিক পরেই সৌরযানের উৎক্ষেপণ করে ইসরো।

XS
SM
MD
LG