ভারতে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অন্যতম বক্তব্য - 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ'। আগামী বছর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'সবকা সাথ' ভাবমূর্তি আরও বড় পরিসরে তুলে ধরতে নতুন রণনীতি নিচ্ছে বিজেপি। দু'মাস পর ২০২৪ সালের জানুয়ারির ২২ তারিখ উত্তর প্রদেশে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রাম মন্দির উদ্বোধনের এক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০ হাজার মানুষের মুখোমুখি হবেন। তাদের বেশিরভাগই মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। রাজধানী দিল্লির একটি স্টেডিয়ামে এজন্য বিশেষ সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা সারা দেশ থেকে বাছাই করা এই ১০ হাজার জনকে বলছে 'মোদী মিত্র।' এই মোর্চাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংখ্যালঘুদের মুখোমুখি বৈঠকের আয়োজক। 'মোদী মিত্র'-রা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির সেতু বন্ধনের কাজ করছেন।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকীর বক্তব্য, সংখ্যালঘু সমাজের এই ১০ হাজার মানুষ বিজেপির কর্মী নন। সমর্থকও নন অনেকেই। তবে প্রত্যেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাড়ে নয় বছরের কর্মসূচির দ্বারা উপকৃত।
সিদ্দিকী জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি তাদের কথা জানাতে পারবেন। সমস্যা, অভাব থেকে পরামর্শ, সবই বিনিময় করতে পারবেন তারা। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী তার কথা বলবেন।
সারা দেশের সংখ্যালঘুদের এই কর্মসূচিতে শামিল করা হলেও বিজেপি কয়েকটি রাজ্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সেই তালিকায় এক ও দুই নম্বরে আছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর প্রদেশ। পশ্চিমবঙ্গে ২৮ শতাংশ মুসলিমের সিংহভাগ বাংলাভাষী।
পশ্চিমবঙ্গে মোদী সরকারের কল্যাণ প্রকল্পে উপকৃতদের দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেছে বিজেপি। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে উপকৃতদের তালিকা সংগ্রহকরে পার্টি যোগাযোগ করে।
গুজরাত দাঙ্গায় সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিন চিট দিয়েছে। সংখ্যালঘুদের মধ্যেও লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তনের জন্য দল এই উদ্যোগ নিচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকারের কর্মসূচীকেই বিজেপি সামনে রাখছে।
বিজেপি শিবির তুলে ধরছে, মোদী সরকারের কল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা দল, ধর্ম, জাত নির্বিশেষে সকলে পেয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বঞ্চনার অভিযোগ নেই কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে।