যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রবিবার এক অঘোষিত সফরে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন। ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখলেও এই উদ্যোগের মাধ্যমে গাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে মানবিক সহায়তা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করা হলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার রামাল্লাহ’র আলোচনায় পরিষ্কার করেছেন, ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা চলবে না।
ব্লিংকেন ও আব্বাস পশ্চিম তীরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্য উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে আছে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তীব্র আকারের সহিংসতা বন্ধ ও এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।
মিলার আরও বলেন, “ব্লিংকেন আবারও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি নাগরিকদের জন্য সমপর্যায়ের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য পৃথক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করার ইচ্ছা ও এ বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন।”
বৈঠকে আব্বাস ইসরাইলের পক্ষ থেকে শিগগির অস্ত্র বিরতির দাবি জানান। এ দিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ইসরাইলের রাতভর হামলায় এক শরণার্থী শিবিরে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। ব্লিংকেন এই সংঘাতে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন, যা ইসরাইল এখন পর্যন্ত নাকচ করে এসেছে।
আব্বাস গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণকে “গণহত্যামূলক যুদ্ধ” হিসেবে অভিহিত করে এর নিন্দা জানান এবং ব্লিংকেনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি যেন “শিগগির তাদেরকে এ ধরনের অপরাধ সংঘটন থেকে বিরত করেন”। ফিলিস্তিনের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এসব তথ্য জানায়।
শনিবার জর্ডানের আম্মানে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কোনো পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লাহ সফরে যান ব্লিংকেন। তিনি তুরস্ক সফরে যাবেন বলেও আশা করা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ভয়েস অফ আমেরিকার নাইকি চিং এই প্রতিবেদনে কাজ করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।