অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে বিধানসভা ভোটমুখী রাজ্যে রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপির প্রচার প্রতিযোগিতা


ভারতে বিধানসভা ভোটমুখী রাজ্যে রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপির প্রচার প্রতিযোগিতা
ভারতে বিধানসভা ভোটমুখী রাজ্যে রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপির প্রচার প্রতিযোগিতা

আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ভারতের পাঁচ রাজ্যে শুরু হবে বিধানসভা নির্বাচন। সেই প্রস্তুতির মধ্যেই আর দু'মাস পর ২০২৪-এর জানুয়ারিতে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের তোড়জোড় চলছে জোর কদমে। তারই মধ্যে মন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ভোট প্রচারেও প্রতিযোগিতা চলছে ভোটমুখী ছত্তীসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায়। উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরাম এই তালিকায় নেই। এরমধ্যে বিশেষ প্রচারে এগিয়ে ছত্তীসগড় ও মধ্য প্রদেশ। এই দুই রাজ্যে বিজেপির তুলনায় কংগ্রেসের প্রচারে রাম মন্দিরের কথা বেশি আসছে।

ছত্তীসগড়ে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে বিভিন্ন সভায় বলছেন রাম মন্দির নির্মাণে বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। মন্দির তৈরি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। অন্যদিকে, রাজ্যে তিনি রামায়নে কথিত রামের বনবাস যাত্রার গোটা পথটি পর্যটন প্রকল্প হিসাবে সাজিয়ে তুলছেন। এরজন্য কোনও আদালতের নির্দেশের প্রয়োজন হয়নি। ছত্তীসগড়ে সরকারি টাকায় কৌশল্যা মন্দির সংস্কারের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে, দু’দিন আগে মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং দাবি করেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের তুলনায় তিনি অনেক বেশি অর্থ অযোধ্যার মন্দিরের জন্য দান করেছেন। পাশাপাশি সে রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথ প্রচারে দাবি করেছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য তিনি ১১টি সোনার ইঁট দিয়েছেন রাম মন্দির ট্রাস্ট্রের তহবিলে।

সেই সঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ভূমিকাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন কমলনাথ। তার বক্তব্য, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নির্দেশে বাবরি মসজিদের তালা খোলানো হয়েছিল। তার ফলেই হিন্দুরা রামলালাকে পুজো করার সুযোগ ফিরে পান। আজ যখন সেই অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে তখন রাজীবকে ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা স্মরণ করা দরকার।

কমলনাথের এই বক্তব্য বিধানসভা ভোটের আগে এখন মধ্য প্রদেশের প্রতিটি সভায় কংগ্রেস প্রচার করছে।

পাঁচ বছর আগে মধ্য প্রদেশে রাজ্য কংগ্রেসের ভার নেওয়ার পর নিজের নির্বাচনী এলাকা ছিন্দওয়ারায় বিশাল হনুমান মন্দির এবং বজরংবলীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।

২০২০-র ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেন। সেদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ট্যুইটে দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তার বাবা রাজীব গান্ধীর অবদানের কথা। প্রিয়াঙ্কাও বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীই বাবরি মসজিদের তালা খোলানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কংগ্রেস দলগতভাব রাম মন্দির প্রসঙ্গে খুব বেশি মুখ খুলছে না। অযোধ্যা বিবাদ নিয়ে তারা শুধু সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে আর কোনও মন্তব্য করেনি।

ছবির ক্যাপশন: কমলনাথ ও ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (ফাইল চিত্র)

XS
SM
MD
LG