অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে বেড়েছে বেকারত্ব, কর্মহীনতা, রিপোর্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার


ভারতে বেড়েছে বেকারত্ব, কর্মহীনতা, রিপোর্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার
ভারতে বেড়েছে বেকারত্ব, কর্মহীনতা, রিপোর্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার

ভারতের কেন্দ্র সরকার চলতি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি কল্যাণ সংকল্প যাত্রা শুরু করতে চলেছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রচার রথে রথ সওয়ারিরা প্রচার করবেন বিগত সাড়ে নয় বছরে কেন্দ্রে মোদী সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচি।

কিন্তু তার আগে দেশে বেকারত্ব নিয়ে আর্থিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা 'সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি', 'সিএমআই' জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে ভারতে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ছিল ১০ শতাংশ, যা আগের মাস মানে সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় দুই শতাংশের কিছু বেশি। আর গত বছর অক্টোবরে এই হার ছিল সাত শতাংশের সামান্য বেশি। এই ধরনের সমীক্ষায় বেকার বলতে ধরা হয় কত মানুষ কাজ চেয়ে কাজ পাচ্ছে না।

বেসিরকারি সংস্থা সিএমআই-র রিপোর্টকে গুরুত্ব দেয় প্রশাসনিক মহল ও শিক্ষা জগৎ। একাধিক রাজ্য সরকার এই প্রতিষ্ঠানকে অর্থনীতিক পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করেছে বিভিন্ন সময়।

সিএমআই জানিয়েছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী শহরের তুলনায় গ্রামে কর্মসংস্থানের হার প্রায় আড়াই শতাংশ কম। যা ইঙ্গিত করে শহরে কাজের সন্ধানে পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়তি চাপ।

ভারতে বেড়েছে বেকারত্ব, কর্মহীনতা, রিপোর্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার।
ভারতে বেড়েছে বেকারত্ব, কর্মহীনতা, রিপোর্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার।

কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর পর থেকেই দাবি করতে শুরু করেছে দেশে কর্মসংস্থানে তারা নজির তৈরি করেছে। যদিও বছরে দু কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সরকারি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন কোনও এই রিপোর্টে দেখা যায়নি। বরং সরকারের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিপাকে পড়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা।

সিএমআই লাগামহীন বেকারিত্ব, কর্মহীনতার যে কারণ উল্লেখ করেছে তাতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী পরিবর্তী আর্থিক পরিস্থিতির বেহাল দশা এর কারণ। ভারতে বিজেপি বিরোধীরা করোনার আগে থেকেই বিমুদ্রাকরণ এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করা নিয়ে সরব। তাদের বক্তব্য, এই দুই ভুল সিদ্ধান্তে ছোট দোকানি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানেই বিপুল কর্মসংস্থান হয়। সেগুলি বেশিরভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন।

আর্থিক বিশেষজ্ঞরা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে গাফিলতিকেও গ্রামে কাজের অভাবের কারণ হিসাবে তুলে ধরেছেন। পশ্চিমবঙ্গে যেমন এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র। তাছাড়া, গোটা দেশে এই প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

XS
SM
MD
LG