সোমবার ৩০ অক্টোবর ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে জনসভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা বাতিল করল বিজেপি। সোমবার ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভার ভোটে তার প্রচার সভা করার কথা ছিল মিজোরামের মামিতে। আগামী ৭ নভেম্বর মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা।
কেন শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর সভা বাতিল করা হল তার কারণ জানায়নি বিজেপি। মিজোরামে দলের রাজ্য সভাপতি ভানলালমুয়াকা জানান, প্রধানমন্ত্রী আসছেন না। পরিবর্তে সভা করবেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পড়শি রাজ্য মণিপুরের জনজাতি দাঙ্গা বিধ্বস্ত পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে মিজোরামের মানুষ। সেই কারণে বিজেপি সহযোগী, রাজ্যের শাসক দল মিজোন্যাশনাল ফ্রন্ট-এর নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী জারামথাঙ্গা দিন তিনেক আগেই ঘোষণা করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় থাকবেন না। কারণ, হিসাবে তিনিও মণিপুর পরিস্থিতির কথাই তুলে ধরেন। ছয় মাস ধরে পড়শি রাজ্য অশান্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একবারের জন্যও মণিপুর যাননি।
মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জো-কুকিদের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ উঠেছে। জো-কুকিদের সঙ্গে মিজোদের জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণে, মণিপুর ছেড়ে কয়েক হাজার কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন।
মিজোরামের সিংহভাগ মানুষ খ্রিস্টান। মণিপুরে জাতিদাঙ্গায় কয়েক হাজার চার্চের উপরেও হামলার অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে মিজোরামের ভোটে মণিপুর পরিস্থিতি অন্যতম ইস্যু।