ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের হুবলি-র কৃষকেরা অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানালেন। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে টানা লোডশেডিং-এর ঘটনা ঘটছিল। বিঘ্নিত হচ্ছিল কৃষিকাজ। মাঝেমাঝে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন তারা।
তাতেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। এরপর নিজেরাই একটা সমাধান সূত্র বের করেন তারা। সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাতে ক্ষেতের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন কৃষকেরা। মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ভারতীয় সময় রাতে অন্ধকারের মধ্যে চাষের কাজ করতে গিয়ে তারা বুঝতে পারেন চাষের ক্ষেতের মধ্যে কিছু একটা ঘুরে বেড়াচ্ছ। টর্চ জ্বালতেই সামান্য দূরে কুমির দেখে ভয়ে পেয়ে যান সকলেই। এরপরই লোকজন ডেকে কুমিরটিকে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। ভোরের আলো ফুটতে সেই কুমিরকে নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে হাজির হন কৃষকেরা।
বুধবার ২৫ অক্টোবর সকালে অফিসে এসে কুমির দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিদ্যুৎ দফতরের সরকারি কর্মীরা। পরে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। আশ্বাস দেওয়া হয়, দ্রুত লোডশেডিং সমস্যার সমাধান হবে। এরপরই বন দফতরকে ডেকে পাঠানো হয়। তারা কুমিরটিকে গ্রাম থেকে দূরের একটি বড় জলাশয়ে ছেড়ে আসেন।
কর্ণাটকের হুবলির কৃষকেরা বলেন, চাষের সময় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জেরে চাষের কাজে ব্যাঘাত ঘটছিল। এদিকে ক্ষেতের মধ্যে সাপের উপদ্রবও থাকে। তাই রাতে কাজ করা অত্যন্ত ঝুঁকির। তবু সকালে লোডশেডিং হওয়ার কারণে সকলে মিলে তারা রাতে ক্ষেতের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখনই ক্ষেতের মধ্যে নজরে আসে কুমিরটিকে। পাশ্বর্বতী কোনও জলাশয় থেকেই কুমিরটি চাষের জমিতে চলে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।