অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব—ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

জনগণ সচেতন হলে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাজার জামে মসজিদসংলগ্ন এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, একটি উৎস থেকেই কিন্তু পুরো এলাকার সবার জন্য জনস্বাস্থ্যের হুমকি তৈরি করতে পারে। একটি পাত্রে জমে থাকা পানির ভেতর প্রচুর পরিমাণে লার্ভা ও মশা হওয়া সম্ভব। তাই প্রথমত আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পানি জমে লার্ভা বিস্তারের সুযোগ তৈরি হয় এ ধরনের কোথাও কোনো পরিত্যক্ত পাত্র বা সামগ্রী রাখা যাবে না। নিজেদের আঙ্গিনা, নিজেদের স্থান, নিজেদের স্থাপনা আমরা যদি পরিষ্কার রাখতে পারি; তাহলে আমরা অবশ্যই এডিস মশা ও ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে পারব।

শেখ তাপস বলেন, ১০০ শতাংশ নির্মূল করতে পারব এটা আমরা বলি না, কিন্তু জনগণ সচেতন হলে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে গৃহিত ও চলমান কার্যক্রম উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, যেটি আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে তা হলো এডিস মশার বিস্তার। এ বিস্তাররোধ করার জন্য আমাদের চলমান অভিযানের কার্যক্রম আজ আমি নিজেই সশরীরে তদারকি করছি। আজকে মধুবাজার এলাকায় আমাদের মশককর্মীরা এবং আমাদের কর্মকর্তারা ২৬টি ভবন পরিদর্শন করেছেন। আমি নিজে গিয়েও কয়েকটি পরিদর্শন করেছি।

শেখ তাপস বলেন, একটু উন্মুক্ত জমি, সেখানে ভাড়াটিয়া কিছু ব্যক্তি থাকেন। সে জায়গায় তাদের একটি মাটির পাত্রে আমরা পানি ও লার্ভা পেয়েছি। তাদের সচেতন করার জন্য আমরা কথা বলেছি এবং সেটা আমরা ধ্বংস করেছি, নির্মূল করেছি। এভাবেই আমরা চেষ্টা করছি যেখানেই লার্ভা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে, পানি জমে থাকার শঙ্কা রয়েছে, সেসব জায়গা আমরা ধ্বংস করছি, নির্মূল করছি। লার্ভিসাইডিং করছি এবং বিকেলে আবার ফগিং করা হচ্ছে। যাতে করে উন্মুক্ত মশাগুলো নিধন করা যেতে পারে। এভাবেই ডিএসসিসি এলাকার ৭৫টি ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে।

শুধু চিরুনি অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে নয়, সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারে মন্তব্য করে শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত (১৮ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত) ২ হাজার ১৩৩টি স্থাপনা, হোল্ডিং, বাসা-বাড়িতে আমাদের কর্মীরা গিয়েছেন (ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে)। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৮টি জায়গায় আমরা লার্ভা পেয়েছি। এ পরিসংখ্যান দিয়ে কোনোভাবেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নির্ণয় করা যাবে না। কারণ একটি জায়গায় যে পরিমাণ লার্ভা হতে পারে বা হওয়ার শঙ্কা থাকে সেটাই কিন্তু পুরো এলাকায় অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট।

শেখ তাপস আরও বলেন, সুতরাং আমরা চাইব, সবাই যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। আমাদের যেসব বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেসব বিদ্যালয় রয়েছে, স্থাপনা রয়েছে, তাদের স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ একটু দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে, আমরা সবাই মিলে এ ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে পারব।

শুধু বাড়িই নয় বাড়ির চারপাশে কোথাও পানি জমে লার্ভা সৃষ্টি হয় এমন কিছু না রাখতে এবং প্রতিদিনকার জমা পানি প্রতিদিন ফেলে দিতে ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

XS
SM
MD
LG