পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আগামী মাসের শুরুতে ভারত সফর করবেন। প্রায় এক দশকের মধ্যে এটাই হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশটিতে পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তার প্রথম সফর।
জাদারি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) নামের একটি আঞ্চলিক জোটের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফর করবেন।
২০১৪ সালে পাকিস্তানের সর্বশেষ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন।
এর পর থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী ঐ দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে চলে আসা উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিরোধ নিষ্পত্তি কল্পে দু’দেশের অনুষ্ঠানিক সংলাপ বন্ধ হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরাহ বেলুচ বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এসসিও'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ৪’মে ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গোয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, এসসিও কাউন্সিলের বর্তমান সভাপতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রমানিয়াম জয়শঙ্কর জারদারিকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বেলুচ বলেন, “বৈঠকে আমাদের অংশগ্রহণ এসসিও সনদ ও প্রক্রিয়ার প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার এবং পাকিস্তান তার পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলকে যে গুরুত্ব দেয় তারই প্রতিফলন।”
ঐ বহুপাক্ষিক সমাবেশের ফাঁকে জারদারি জয়শঙ্করের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন কিনা তা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে বেলুচ অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেন "আগামী দিনগুলিতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সাথে আমরা সবকিছু ঘোষণা করব”। বেলুচ জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের প্রধান কূটনীতিক এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন।
২০০১ সালে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান যৌথভাবে পারস্পরিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন নামে এই আঞ্চলিক ব্লকটি প্রতিষ্ঠা করে।