একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্পের জন্য কয়েকশো সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকারী যাচাই করতে এই সপ্তাহে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করছে। তবে একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বলেছেন, তারা কখন দেশে ফিরবেন তা স্পষ্ট নয়।
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাস করছে। এদের অধিকাংশই ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনা-নেতৃত্বাধীন হামলা থেকে পালিয়ে এসেছে।
কক্সবাজারে বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ এবং প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রয়টার্সকে বলেন, পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ১৪০ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা হবে। এর মধ্যে ৭১১ জনের কার্যক্রম নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
তালিকায় থাকা বাকি ৪২৯ জন এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে কিছু নবজাতক শিশু রয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তার একজন মুখপাত্র মন্তব্য চেয়ে রয়টার্সের করা ফোন কলের উত্তর দেননি।
বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রথম দলকে শীঘ্রই মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হবে। এদিকে চীন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে।
দুই বছর আগে বিশাল এক দাবানলে কমপক্ষে ১৫ জন শরণার্থী নিহত হয়েছিল এবং ১০ হাজারের বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছিল। এই মাসের শুরুতে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী গত বছর অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা সমুদ্রে ডুবে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।