ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি সোমবার পার্টির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ করেছে। প্রভাবশালী নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরা নির্বাচনের দৌড়ের বাইরে রয়েছেন।
যদিও দলটি ঐতিহাসিকভাবে নেহেরু-গান্ধী পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়ে এসেছে, সোনিয়া গান্ধী এবং তার পুত্র রাহুল গান্ধী ২০১৪ সালের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলটি ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচনে বিপর্যয়কর পরাজয়ের পর পার্টির নেতৃত্বে একটি নতুন মুখ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভোটের আগে প্রচারের সময় দক্ষিণ কর্ণাটক রাজ্যের ৮০ বছর বয়সী মল্লিকার্জুন খারগে দলের শীর্ষ নেতাদের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম তাঁকে “অফিসিয়াল প্রার্থী” বলে অভিহিত করেছে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ৬৬ বছর বয়সী শশী থারুর। তিনি ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের আগে প্রায় ৩০ বছর জাতিসংঘে কাটান।
২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে হতাশাজনক ফলাফল এবং দলের সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর নতুন নেতা খুঁজে বের করার জন্য দলের সংগ্রাম অবসানের ক্ষেত্রে শীর্ষ দলীয় পদে নির্বাচন একটি বড় পদক্ষেপ।
কংগ্রেসের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির নিন্দা করেছেন মোদি।
অতীতে দলটি নেহেরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। তবে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী ১৯৯৮ সাল থেকে দল সংক্রান্ত নেতৃত্বে রয়েছেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৩ জন এই পরিবার থেকে এসেছে। এদের মধ্যে দুজন- রাহুল গান্ধীর দাদি ইন্দিরা গান্ধী এবং বাবা রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের কাছ থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে দলটি ভারতের শাসন ক্ষমতায় ছিল।