ওয়াশিংটন — যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট, আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর, শুক্রবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের "অভূতপূর্ব" চাপের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কারণ, অভিবাসন ইস্যুটি নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে হোয়াইট হাউজের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের পর, হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "সারা গোলার্ধ থেকে আমাদের এই দুই দেশে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নজিরবিহীন প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে, প্রেসিডেন্টরা আঞ্চলিক অভিবাসন বৃদ্ধি প্রশমনে একটি শক্তিশালী কার্যসম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।"
প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকটি, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ঝোড়ো এবং ক্ষণে ক্ষণে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পর, দুই দেশের জটিল সম্পর্ককে আরও সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টারই একটি নিদর্শন।
অবৈধ অভিবাসন নিয়ে মেক্সিকোর সাথে ট্রাম্পের আক্রমনাত্মক সম্পর্কের উল্লেখ করে, হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, "দুই নেতার কথোপকথনটি ছিল খুবই গঠনমূলক। প্রেসিডেন্ট বাইডেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্টকে কোনওভাবে হুমকি দিচ্ছেন, এমন কোনও কিছু তাঁদের ওই কথোপকথনে ছিলনা।"
দুই দেশ বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং সহিংস মাদক সমস্যা সমাধানে অঙ্গাঙ্গীভাবে আবদ্ধ। তবে, সমস্ত কিছুর উপর উভয় দেশের নজর ছিল কিভাবে বৈধ এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার উপর।
সাকি বলেন, "অধিকাংশ কথোপকথন ছিল অভিবাসন সম্পর্কে এবং সীমান্তে অভিবাসন কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সমন্বয়, অর্থনৈতিক সমন্বয়ের উপর অব্যাহত কাজ সম্পর্কে।"
বৈঠকের পর লোপেজ ওব্রাডর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, মেক্সিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড সোমবার "উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার বিষয়" এবং আমেরিকা মহাদেশের শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করতে শীগগিরই ওয়াশিংটনে যাবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত গড়ে ১,৬০০ অভিবাসন প্রত্যাশী লোকজন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকত। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন গত তিন সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে দিনে ৭,৮০০টি অনথিভুক্ত অভিবাসন প্রার্থীকে নিবন্ধিত করেছে – যা ওই সময়ের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।