অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

একটি তুষার পেঁচাকে দেখতে ওয়াশিংটনে ছুটে আসছেন অনেকে


ওয়াশিংটনের ইউনিয়ন স্টেশনের প্রবেশপথে ক্রিস্টোফার কলম্বাস মেমোরিয়াল ফাউন্টেনের বৃহৎ মার্বেল কক্ষের উপরে একটি বিরল জাতের তুষার পেঁচা নীচের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় ছবিটি তোলা হয়। (ছবি-এপি/ক্যারোলিন কাস্টার)
ওয়াশিংটনের ইউনিয়ন স্টেশনের প্রবেশপথে ক্রিস্টোফার কলম্বাস মেমোরিয়াল ফাউন্টেনের বৃহৎ মার্বেল কক্ষের উপরে একটি বিরল জাতের তুষার পেঁচা নীচের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় ছবিটি তোলা হয়। (ছবি-এপি/ক্যারোলিন কাস্টার)

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এবারের শীতে তারকা হয়ে উঠেছে একটি ‍তুষার পেঁচা। আর রাজধানীর নতুন এই অতিথিকে দেখতে, দূরদূরান্ত থেকে সেখানে ক্যামেরা নিয়ে জড়ো হয়েছেন বার্ডওয়াচার বা পাখি পর্যবেক্ষকেরা।

‘বার্ড ওয়াচিং’ (পাখি পর্যবেক্ষণ) বা ‘বার্ডিং’ যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের কাছে একটি জনপ্রিয় শখ। কোভিড পরিস্থিতিতে এই পাখি পর্যবেক্ষণ বা দেখার শখটি আরও জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ এটি খোলা জায়গায় একে অপরের থেকে বেশ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই করা যায়।

এমন তুষার পেঁচার পাখার এক মাথা থেকে আরেক মাথার দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট। হলুদ চোখের এই সাদা-ধূসর রঙ মেশানো পালকের পাখিটিকে জানুয়ারির ৩ তারিখে প্রথম ওয়াশিংটনে দেখা যায়। তারপর থেকেই ‘ইবার্ড’ নামের পাখি পর্যবেক্ষকদের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সেই খবরটি তোলপাড় ফেলে দেয়। নানা দিক থেকে ছুটে আসতে থাকেন পাখি পর্যবেক্ষকেরা।

তাদের মধ্যেই একজন পাখি পর্যবেক্ষক হলেন জ্যাঁক পিটেলাউড। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। এএফপিকে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই পাখিটিকে দেখার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু ওয়াশিংটনে সেটির দেখা পাওয়াটা সত্যিই অসাধারণ একটি বিষয় ছিল।

উত্তর মেরুতে থাকা তুষার পেঁচা শীতকালে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত পর্যন্তই আসে। কিন্তু এই শীতে সেগুলোকে ক্যানসাস, মিসৌরি, টেনেসি, নর্থ ক্যারোলিনা ও মেরিল্যান্ডে দেখা গিয়েছে।

হ্যারি পটারের গল্পের ‘হেডউইগ’ সদৃশ এই পেঁচাটি শিশুদের কাছেও খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বাবা-মার সঙ্গে বেশ কিছু বাচ্চারাও পেঁচাটিকে খুব আগ্রহ নিয়েই দেখতে এসেছে।

ধারণা করা হয়, সারা পৃথিবীতে মাত্র ৩০ হাজার তুষার পেঁচাই অবশিষ্ট আছে। তাই বিজ্ঞানীরা এটিকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীদের তালিকায় রেখেছেন।

XS
SM
MD
LG