অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপি: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সূত্র মতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, যারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হবেন, তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএনপির ৬৪ জন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ইতিমধ্যে পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শাখার সভাপতি ফাহমিদ ফয়সল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া দিনাজপুরের বিরল উপজেলা শাখার সহসভাপতি সাদেক আলী, উত্তর চট্টগ্রামের চিকনন্দী ইউনিয়ন শাখার সহকারী আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, কক্সবাজার জেলা শাখার নেতা জহুরুল আলম ও কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতা এম হান্নান মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির

এর আগে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেকোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড।

১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই বলেও উল্লেখ করে দলটি।

উপজেলা নির্বাচন

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ১৫ এপ্রিল (সোমবার)। প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে।

দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ১ এপ্রিল (সোমবার)। দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২১ এপ্রিল। এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে।

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ১৭ এপ্রিল (বুধবার)। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৯ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১২ মে। আর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৩ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। ২০ মে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ৫ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হবে চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ।

চতুর্থ ধাপে ৫৪টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় এক প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। চতুর্থ ধাপে ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে।

XS
SM
MD
LG