অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এডিবি’র জলবায়ু দূত: ‘বাংলাদেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি’


এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর জলবায়ু দূত ওয়ারেন ইভান্স
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর জলবায়ু দূত ওয়ারেন ইভান্স

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর জলবায়ু দূত ওয়ারেন ইভান্স বলেছেন, যে বাংলাদেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি। শনিবার(৪ মে) জর্জিয়ার তিবিলিসি-তে একথা বলেন তিনি।
তীব্র তাপপ্রবাহে এই চাহিদা আরো বাড়বে বলে উল্লেখ করেন ওয়ারেন ইভান্স। আর, দেশজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির উপায় উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশকে পরামর্শ দেন।
ওয়ারেন ইভান্স উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার মানুষের জন্য, বিশেষ করে নারীদের জন্য, তীব্র তাপের ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেতনতা তৈরিতে ইতোমধ্যে বেশ ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে।

“জলবায়ুর প্রভাবের মুখে টিকে থাকতে এবং অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে, আগামী বছরগুলোতে বিনিয়োগ প্রয়োজন; এজন্য বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে;” যোগ করেন ওয়ারেন ইভান্স। এডিবি’র জলবায়ু অর্থায়নের মাত্রা এবং প্রভাব অনুকূল করতে, বাংলাদেশের জন্য একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা দেন তিনি।

এর মধ্যে রয়েছে; নতুন এবং অতিরিক্ত প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সংস্থান সংগ্রহ, এডিবির বাহ্যিক জলবায়ু অংশীদারিত্ব জোরদার করা এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তি ও উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা জোরদার করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য সক্ষমতা উন্নয়ন জোরদার করা।

বার্তাসংস্থা ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ারেন ইভান্স বলছেন, এর জন্য অনেক নীতি ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সংস্কারের প্রয়োজন হবে। এডিবির জলবায়ু দূত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নীতিভিত্তিক ঋণের (পিবিএল) কথা উল্লেখ করেন।

“এটি বাংলাদেশে এডিবির সিস্টেমের জন্য একটি নতুন দিক-নির্দেশনা দেয়, যা মূলত জলবায়ু কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে;” বলেন এডিবির জলবায়ু দূত।

“সুতরাং, অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে আমরা দারুণ বাস্তব অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি;” বলেন এডিবি’র জলবায়ু দূত ওয়ারেন ইভান্স।

তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী ও মেয়েদের ওপর তাপজনিত চাপের প্রভাব আরো ভালোভাবে বুঝতে এবং অভিযোজনে বিনিয়োগের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া 'জেন্ডার অ্যান্ড হিট ইনিশিয়েটিভ'-এর কথা উল্লেখ করেন।

নতুন কারিগরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায়, এডিবি পর্যবেক্ষণ করছে যে, কিভাবে তাপজনিত চাপের ক্রমবর্ধমান হুমকি নারীদের প্রভাবিত করে এবং তা প্রশমনে সুনির্দিষ্ট নীতি, পদক্ষেপ এবং বিনিয়োগ চিহ্নিত করে।

নীতিগুলো কি করে নারী ও মেয়েদের ওপর তাপের প্রভাব কমাতে সরকারকে সহায়তা করতে পারে; সে বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করছে এডিবি। এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো; বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তাজিকিস্তান।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিশ্বব্যাপী বার্ষিক ৬৫ হাজার কোটি ঘণ্টার বেশি শ্রম হ্রাসের সম্পর্ক রয়েছে। যা প্রায় ১৪ কোটি ৮০ লাখ পূর্ণকালীন চাকরির সমতুল্য।

নারীরা এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়। তাদের জীবন-হুমকির মধ্যে পড়ে এবং যথেষ্ট আর্থ-সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।

কর্মসূচিটি অভিযোজনের জন্য ৩,৪০০ কোটি ডলারসহ ২০১৯ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নিজস্ব সম্পদ থেকে জলবায়ু অর্থায়নে ১০ হাজার কোটি ডলার সরবরাহের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

XS
SM
MD
LG