স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মে মাসটা কিছুটা স্বস্তিকর ছিল। জুন মাস নাও হতে পারে। কারণ করোনাভাইরাসের গতি-প্রকৃতি তেমনটাই বলে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন এক ভার্চুয়াল বুলেটিনে এই আশঙ্কাই ব্যক্ত করেছেন।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নওগাঁ, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় লকডাউন কার্যকর করা হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং সংক্রমণ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের দিকে তাকালেই এটা স্পষ্ট, সংক্রমণ হচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা সেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। গত ২৪শে মে থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১০৭ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালটিতে ২৩৫ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রোগীর চাপ বেশি থাকায় নতুন রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না।
রাজধানী ঢাকার অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভাল ছিল। কিন্তু ঢাকার কাছের নবাবগঞ্জে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্ক এখন চারদিকে। এই উপজেলায় এ পর্যন্ত সাত জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। গত ২৬শে এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যায় নি। যে কারণে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের খবর, এখন পর্যন্ত ১১টি জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় শনাক্তের হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৩৪ জনই মোংলা উপজেলার। এই জেলায় এ পর্যন্ত ৬৯২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান বিধি-নিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে। গত ১৪ই এপ্রিল থেকে বিধি-নিষেধ দেয়া হয়। এর পর ছয় দফা বাড়ানো হয়েছে।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৭৬ জন। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী
Your browser doesn’t support HTML5