সুন্দরবনে ছাড়া হলো ১০০ কুমির 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সুন্দরবনে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সুন্দরবনে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার সুন্দরবনের চারটি স্থানে কুমিরগুলো অবমুক্ত করা হয়।

দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সামনের নদীতে আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি কুমির অবমুক্ত করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদার। পরে নদীতে ৪০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সামনের নদীতে ৪০টি ছাড়াও, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা এলাকায ২০টি, খুলনায় ২০ এবং শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ২০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এসব কুমিরের বয়স দুই বছরের মতো। চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া এসব কুমিরের ওজন ৮-২০ কেজির মতো। বিলুপ্তি রোধে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের প্রজনন করানো হয়।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ম্যানগ্রোভ বন থেকে দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির বন্য মহিষ ও মিঠাপানি প্রজাতির কুমির বিলুপ্ত হয়ে গেছে। লবণপানি প্রজাতির কুমিরও সুন্দরবনে কিছুটা সংকটাপন্ন। এ প্রজাতির কুমির টিকিয়ে রাখতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সুন্দরবনে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হলো। এর আগেও বিভিন্ন সময় সুন্দরবনে লবণপানি প্রজাতির কুমিরসহ বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে।

সুন্দরবনে লবণপানি প্রজাতির ১৫০-২০০ কুমির রয়েছে। যা সুন্দরবনের ৪৫০টি নদ-নদী ও খালসহ ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ অবস্থায় কুমিরের সংখ্যা বাড়াতে বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সুন্দরবনে ১০০ কুমির অবমুক্ত করা হল।